কুমিল্লায় গত ২৪ ঘণ্টায় (শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন দুইজন। এর মধ্যে একজন কুমিল্লা নগরীতে এবং অন্যজনের বাড়ি লালমাই উপজেলায়। এ নিয়ে জেলায় মোট প্রাণহানির সংখ্যা ৯৫৯ জন।
শনিবার (২২ জানুয়ারি) কুমিল্লা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলায় নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছেন ১৩৫ জন। পরীক্ষা বিবেচনায় করোনা শনাক্তের হার ৩৩ শতাংশ। নতুন শনাক্তদের মধ্যে বেশির ভাগই কুমিল্লা নগরীর বাসিন্দা। এছাড়া ৭৫৭ জন বিদেশগামী করোনার নমুনা পরীক্ষাকারীর মধ্যে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন ৫৩ জন।
কুমিল্লার সিভিল সার্জন মীর মোবারক হোসাইন জানান, পরীক্ষা কম হওয়ার কারণে শনাক্তের হার বেশি দেখাচ্ছে। তবে সংক্রমণ বাড়ছে দিন দিন। কুমিল্লায় ওমিক্রন নাকি ডেল্টার সংক্রমণ তা এখনো বোঝা যাচ্ছে না। যেহেতু রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায় ওমিক্রণের আক্রান্তের হার বেশি সেক্ষেত্রে ওমিক্রনের সংক্রমণ বলেই ধরে নেওয়া যায়। কিন্তু যে ধরনের ভ্যারিয়েন্টেরই সংক্রমণ সাধারণ মানুষকে সচেতন হওয়ার কোনো বিকল্প নেই। সবাইকে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. মহিউদ্দিন জানান, হাসপাতালে এখনো রোগীর সংখ্যা বাড়েনি। কিন্তু মানুষের অসচেতনতা এখন আশঙ্কার বিষয়। সবাইকে মাস্ক অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে।
কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন জানান, খুব শিগগিরই স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হবে।
